১১০ জনের জন্য দুটি ডিটেনশন ক্যাম্পঃ এটা কিসের ইঙ্গিত

        এন আর সি নিয়ে যখন সারা দেশের সঙ্গে বাংলাও চরম আতঙ্কিত । ভয়ে নিজেদের  নথিপত্র যোগাড়ে ব্যস্ত। নাম, ঠিকানার সাথে দাদুর দাদুর নথীও হন্যে হয়ে খুজছে আসামের ঘটনা প্রবাহ দেখে। পুরনো ভোটার তালিকা থেকে পূর্বপুরুষদের জমির দলিল খুজে বেড়াচ্ছে প্রায় সমস্ত বাঙালী। ইতিমধ্যেই এই আতঙ্কে সাতের অধিক প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমান রাজ্যের শাসক দল ও তার মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বস্ত করুক রাজ্যবাসী বিশ্বাস করতে পারছেনা মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বপ্রতিশ্রুতির করুণ পরিণতি দেখে। সেই কারণেই নিজেরদের নথী সংগ্রহ করে চলেছে সাধারণ মানুষ। 

        আর  রাজ্যবাসী লক্ষ্য করতে পারছেন এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আর বিশেষ বিরোধিতাও  করছেন না আমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পর থেকে। এদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপির নেতাদের মুখে এনআরসি নিয়ে হুঙ্কার লেগেই আছে।বিজেপি ২০২১ সালের এই রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনের প্রধান  ইস্যু করতে চাইছে।

      এরই মধ্য রাজারহাটে ও বনগাঁতে দুটি ডিটেনশন ক্যাম্পের সংবাদ প্রচার হলে সাধারণ মানুষের মনে রাজ্যে এনআরসি হচ্ছেই এটা ধরে নেওয়া স্বাভাবিক।সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি তাহলে জনগণকে বোকা বানিয়ে গোপনে এনআরসির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। 
  

 কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৫০ নাইজেরীয় অপরাধী গ্রেফতার হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৪০ জনকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১০ জন বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। তাদের জনই মুলত ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল ১১০ জনের জন্য দুটি ডিটেশন ক্যাম্প কি কারণে দরকার ? একটা পাড়াতেই যখন সহাস্ত্রআধিক  মানুষ বাস করতে পারে সেখানে দুটি ক্যাম্প। কেন?

Post a Comment

ধন্যবাদ

Previous Post Next Post