![]() |
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা চলছে |
![]() |
রক্ত দিচ্ছেন |
বিজ্ঞানের জন্য শহীদ যে বিজ্ঞানী- জিওর্দানো ব্রুনো। ব্রুনো কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদকে সমর্থন করেছিলেন যা ছিল বাইবেলের - 'সূর্য পৃথিবীর চার পাশে ঘোরে' -এই মতবাদের বিপরীত। ব্রুনো কোপার্নিকাসের সাথে সুর মিলিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে বলেছিলেন, 'সূর্য নয়, বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে'। আর এতেই বাইবেল ও চার্চের স্বার্থে আঘাত লাগে। ধর্মীয় বিশ্বাস ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। পোপ তাঁর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার ভয়ে জিওর্দানো ব্রুনো বিরুদ্ধে খড়্গ হস্ত হয়। ব্রুনো প্রাণ বাঁচাতে সারা ইউরোপে পালিয়ে বেড়িয়ে ধুর্ত পোপের হাতে ধরা পড়েন। চার্চের প্রচণ্ড চাপের মুখে নতিস্বীকার না করে হাসি মুখে মৃত্যুকেই বরণ করে নিয়ে ছিলেন মহান ব্রুনো।
পৃথিবীতে এখন প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে হয়ে চলেছে নিত্য-নতুন উদ্ভাবন আর আবিষ্কার। আর এদের পেছনে রয়েছেন অসংখ্য নাম-না-জানা কিংবা চেনা-জানা বিজ্ঞানীর অবদান। আবার বৈজ্ঞানিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ধর্মগুরু, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের কর্ণধারদের রোষানলে পড়ে জীবন হারানো বিজ্ঞানীর সংখ্যাও কম নয়। সেরকমই এক নিবেদিতপ্রাণ বিজ্ঞানী যাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাঁর নাম জিওদার্নো ব্রুনো। ১৬০০ সালের ২০ জানুয়ারি পোপ ৮ম ক্লেমেন্ট ব্রুনোকে একজন ধর্মদ্রোহী বলে রায় দেন ও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রোমের কেন্দ্রীয় বাজার Campo de' Fiori এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে সবার সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে পুড়িয়ে মারা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- "এই মহাবিশ্বের মতো আরো মহাবিশ্ব আছে, পৃথিবী গোল, সূর্য এই মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় এবং এটি একটি নক্ষত্র ছাড়া আর কিছু নয়"- এই ধারণা পোষণ করা। ব্রুনো কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদকে সমর্থন করেছিলেন যা ছিল বাইবেলের ‘সূর্য পৃথিবীর চার পাশে ঘোরে’-এই মতবাদের বিপরীত। ব্রুনো কোপার্নিকাসের সাথে সুর মিলিয়ে দৃঢ় প্রত্যায়ে বলেছিলেন,’সূর্য নয়, বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে’। চার্চের প্রচণ্ড চাপের মুখে নতিস্বীকার না করে হাসি মুখে মৃত্যুকেই বরণ করে নিয়ে ছিলেন মহান ব্রুনো।