লন্ডন, অর্ক ভাদুড়ীঃ
গণহত্যার বিরুদ্ধে লন্ডনে আজ আবার পথে নামলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ ঠিক কত লক্ষ, এখনও জানি না। একাধিক সংবাদমাধ্যম লিখছে, ব্রিটেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় রাজনৈতিক মিছিল হয়নি৷ পাল্টা জমায়েত করেছিলেন অতি দক্ষিণপন্থীরা৷ বলা বাহুল্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ের সামনে তাঁদের কর্মসূচি হালে পানি পায়নি।
এই মিছিলগুলিতে হাঁটলে গোটা দুনিয়ার শান্তিকামী, প্রগতিশীল, বামপন্থী আন্দোলনের স্রোত এসে গায়ে লাগে৷ অজস্র ভাষা, অসংখ্য জাতির মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাজিক কিশোরীর মাথায় সোভিয়েত লাল ফৌজের টুপি দেখে থমকে দাঁড়ালাম৷ তার দাদু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাল ফৌজের হয়ে লড়েছেন। সোস্যালিস্টদের স্টলের পাশ দিয়ে বাংলায় কথা বলতে বলতে হেঁটে গেলেন কয়েকজন৷ আরবি গানের সুর পেরিয়েই কিউবা এবং ভেনেজুয়েলার পতাকা।
সামনে থেকে গোটা মিছিলকে নেতৃত্ব দিলেন পার্লামেন্টের সদস্য, প্রাক্তন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। অসম্ভব প্রাণবন্ত একজন মানুষ। বার তিনেক কথা হয়েছে। মুগ্ধ না হয়ে পারিনি৷ এই সপ্তাহেই তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ইসলিংটনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। করবিন কেমন করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কাজ করেন, তাঁর জনসংযোগের পদ্ধতি কেমন, সামনে থেকে দেখব।
মিছিলের শেষ থাকে না। দু'টি অস্থায়ী মঞ্চে যখন বক্তৃতা চলছে, সামনে জমাটবাঁধা ভিড়, তখন মিছিলের অনেকখানি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা মধ্য লন্ডন জুড়ে৷ পার্কে, রেলস্টেশনে, বাসস্টপে, কফিশপের বাইরে অজস্র নিশান, ব্যানারে-প্ল্যাকার্ডে গণহত্যা বন্ধের দাবি।
ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে এখনও প্রতিরোধ করছেন গেরিলা যোদ্ধারা। বামপন্থী গেরিলা সংগঠন পিএফএলপি জানিয়েছে, তাঁরা দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধের জন্য তৈরি।