পাটের দাম ও সারের কালোবাজারি নিয়ে নওদার চাষিরা আবারও আন্দোলনে

      পাটের দাম তলানিতে অন্যদিকে সার নিয়ে চলছে ব্যাপক কালোবাজারি ও দুর্নীতি।  চাষীদের অভিযোগ চাষীরা দোকান থেকে সার কিনে ক্যাশমেমো পাই না ফলে এমআরপি থেকে অনেক বেশি টাকা চাষিদের পকেট থেকে কাটছে অসাধু সার ব্যবসায়ীরা।  এই সমস্ত একগুচ্ছ দাবি নিয়ে নওদা কৃষক সংগ্রাম কমিটির পাটিকাবাড়ী শাখার পক্ষ থেকে আজ পথে নামল কয়েকশত চাষী ।

কৃষক বিক্ষোভ
পাটিকাবাড়ীতে কৃষক বিক্ষোভ 
       এদিন পাটিকাবাড়ী বাজারে চাষিদের বিক্ষোভ
মিছিল পরিক্রমণ করে  এবং পাটিকাবাড়ী জেসিআই অফিসে স্মারকলিপি জমা দেয়। সারের ব্যাপক কালোবাজারীর ফলে চাষের খরচ সাধ্যের বাইরে চলে গেছে, সেই সাথে পাট বিক্রয়ের সময়  ফড়ে দালাল ও জেসিআই এর সাঁড়াশি আক্রমনে চাষিরা নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে। নওদা কৃষক সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইন্তাজ আলি বলেন, “গত ২১শে ফেব্রুয়ারী নওদা ব্লকে চাষিরা সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে যুগ্মভাবে বিডিও এবং এডিএ-র নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়। নওদার বিডিও এবং এডিএ সারের কালোবাজারী বন্ধের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা স্বত্বেও এখনও সারের কালোবাজারী বন্ধ হয়নি এবং চাষিরা সারের ক্যাশমেমো পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় পাট বিক্রয়ের সময়েও প্রশাসনের
নিষ্ক্রিয়তায় চাষিদের আরও একবার ঠকতে হচ্ছে।“ চাষিরা জেসিআই-এ  পাট নিয়ে গেলে নানান ধরনের অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের পাট না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ। পাট  চাষি বদর মিস্ত্রি, সাইফুল ইসলাম বলেন, পাট চাষে লাভ তো দূরের কথা খরচ টুকুই উঠছে না । এইভাবে বারংবার লোকসান দিয়ে চাষ করতে হলে মহারাষ্ট্রের তুলো চাষিদের মত আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।  ফলে আমাদের দাবি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও পাট ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে।   

     নওদা কৃষক সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইন্তাজ আলি আরও বলেন   আমাদের দাবি স্মামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে পাটের দাম প্রতি কুইন্টাল ১৩০০০ টাকা দিতে হবে।  জেসিআই দালালদের কাছ থেকে নয় চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি লাভজনক দাম দিয়ে পাট কিনতে হবে এবং সারের কালোবাজারি বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

Post a Comment

ধন্যবাদ

Previous Post Next Post